সৌদি প্রবাসীদের দারুন সুখবর দিলেন রাষ্ট্রদূত

সৌদি আরবের প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত, আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে গতকাল এ নির্দেশ প্রদান করেন।

দূতাবাসের শ্রম উইং আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, সৌদি আরবে নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকগণ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দূতাবাসে আসেন, মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনতে হবে এবং হাসিমুখে সেবা প্রদান করতে হবে। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করে অভিবাসীদের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসী শ্রমিকদের মনে বিভিন্ন কারনে ক্ষোভ থাকতে পারে, এজন্য কেউ হয়তো উচ্চস্বরে কথা বলতে পারেন কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ দূতাবাসের সেবা সংক্রান্ত সকল তথ্য অভিবাসীদের জন্য সহজে পৌঁছানোর জন্য নির্দেশ দেন।

গত ২৮ জুন শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণে সৌদি আরবে অভিবাসী বাংলাদেশিদের মৃতদেহ দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া, মৃত ব্যাক্তির সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও বকেয়া পাওনা আদায়, ফ্রি ভিসার নামে লোক পাঠানো বন্ধ করা, প্রতারণা বা যে কোনো জালিয়াতি করা হলে জনশক্তি রফতানি কারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিষ্টাচার ও আচরণ পরিবর্তনে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তিনি দায়িত্বশীলতার সাথে অভিবাসীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেন।

দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) মোঃ সফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহ আলম চৌধুরী, ইকোনমিক মিনিষ্টার ড. মোঃ আবুল হাসান ও শ্রম কাউন্সেলর সরোয়ার আলম। অফিস ব্যবস্থাপনা ও সরকারী চাকুরীর বিধি বিধান সম্পর্কে প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মোঃ বশির, প্রথম সচিব (শ্রম) মোঃ আসাদুজ্জামান ও কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ।